Header Ads

Header ADS

১৫০০ বছর আগে হারানো “সোনার মানচিত্র” — যা বদলে দিতে পারে বাংলার ইতিহাস!

 🕵️‍♂️ এক কৃষকের হাতে ধরা পড়ে পাল সম্রাটের হারানো মানচিত্র! অবিশ্বাস্য সত্য গল্প



নওগাঁ জেলার এক প্রত্যন্ত গ্রাম, নাম তার “দুলালপুর”।

একদিন বৃষ্টির সকালে কৃষক রমজান আলী নিজের জমি চাষ করছিল। হঠাৎ লাঙ্গলের ফলা মাটিতে শক্ত কিছুতে আঘাত করে। চাষ বন্ধ করে যখন সে মাটি খুঁড়ে দেখে — এক পুরোনো ধাতব বাক্স, যার গায়ে লেখা অচেনা লিপি:
১৫০০ বছর আগে হারানো “সোনার মানচিত্র” — যা বদলে দিতে পারে বাংলার ইতিহাস! “সত্যের সন্ধানে যাও, আলো তোমায় পথ দেখাবে।” রমজান ভয় পেয়ে বাক্সটা ঘরে এনে রাখে। কিন্তু সেই রাতেই অদ্ভুত ঘটনা ঘটে — ঘরের চারদিকে যেন কারো পায়ের শব্দ, দরজা-জানালা কাঁপছে, বাতাসে শোনা যায় মৃদু মন্ত্রোচ্চারণ। ভোর হলে বাক্সের ঢাকনা খুলে যায় নিজে থেকেই। ভেতরে পাওয়া যায় পুরনো এক সোনালী রঙের মানচিত্র, আর একটি ভিক্ষুর মূর্তি, যার চোখে যেন জীবন্ত দৃষ্টি। মানচিত্রে লেখা: “ধর্মপালের ধন পাহাড়পুরের ছায়ায় ঘুমিয়ে আছে।” ইতিহাসের নীরব সাক্ষী রমজানের ছেলে আশরাফুল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতিহাসে পড়াশোনা করছিল। বাবা ফোন করে মানচিত্রের কথা বললে সে ছুটে আসে গ্রামে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক অধ্যাপক রশীদ মানচিত্রটি দেখে চমকে ওঠেন। তিনি বলেন,

“এই লিপি পাল যুগের। কিন্তু আশ্চর্য—এর কোনো অনুলিপি আমরা কোথাও পাইনি।” মানচিত্রে তিনটি স্থানের চিহ্ন — ১️⃣ পাহাড়পুর মহাবিহার, ২️⃣ বিক্রমপুর রাজবাড়ির ধ্বংসাবশেষ, ৩️⃣ পদ্মার তীরের এক অজানা দ্বীপ। অধ্যাপক বলেন, এই তিন জায়গা নাকি এক অদৃশ্য রেখায় সংযুক্ত — যা একত্র করলে গঠিত হয় সূর্যচিহ্ন। এই সূর্যচিহ্নই ছিল পাল রাজাদের রাজমুদ্রা। পাহাড়পুরের মাটির নিচে আশরাফুল, অধ্যাপক রশীদ ও স্থানীয় এক সাংবাদিক রহিম একসাথে রওনা দেয় পাহাড়পুরে। রাতের বেলা তারা খননের জায়গায় পৌঁছে যায়। মাটির নিচে মৃদু আলোর প্রতিফলন— যেন কেউ টর্চ না ফেলেও আলো বেরোচ্ছে ভেতর থেকে। খনন করে তারা বের করে এক পাথরের ফলক, যেখানে খোদাই করা: “সোনার মানচিত্রকে পূর্ণ করতে হলে তিনটি সূর্য একসাথে জ্বালাতে হবে।” রহিম ছবি তুলতে যায়, কিন্তু ক্যামেরা হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায়। পরে জানা যায়, তার মেমরি কার্ড সম্পূর্ণ মুছে গেছে। কেউ যেন ইচ্ছে করে সব চিহ্ন মুছে দিচ্ছে। বিক্রমপুরের রহস্য দ্বিতীয় স্থানে পৌঁছে তারা দেখে — এক প্রাচীন মন্দিরের ভগ্নাবশেষের পাশে খোদাই করা সূর্যের চিহ্ন, কিন্তু কেন্দ্র ফাঁকা। আশরাফুল একটি পুরোনো লোহার চাবি মানচিত্রের ভাঁজে পায়। চাবিটি সেই সূর্যচিহ্নের ফাঁকা স্থানে ঢোকাতেই মাটি কেঁপে ওঠে, এবং ছোট্ট একটি কক্ষ খুলে যায়। ভেতরে পাওয়া যায় এক তাম্রলিপি: “শেষ সূর্য জ্বালানো মানুষই দেখতে পাবে আলোর রাজ্য।” অধ্যাপক রশীদ বুঝলেন, তৃতীয় স্থানেই রহস্যের চাবি। পদ্মার তীরে শেষ সূর্য তারা পৌঁছে যায় পদ্মার এক দ্বীপে, যেখানে জেলেরা বলে — “রাতে কেউ গেলে আলো জ্বলে, আর সকাল হলে সব হারায়।” সেখানে মাটির নিচে তারা খুঁজে পায় সোনালী রঙের এক গোলক। গোলকের ভেতরে ছিল পাল সম্রাট ধর্মপালের রাজমুদ্রা, এবং মানচিত্রের শেষ অংশ — যা পুরো মানচিত্রটিকে পূর্ণ করে। যেই মুহূর্তে আশরাফুল তিন টুকরো মানচিত্র জোড়া লাগায়, আকাশে এক অদ্ভুত আলো জ্বলে ওঠে, মাটি কেঁপে ওঠে, এবং পদ্মার তলায় ডুবে থাকা প্রাসাদের ছাদ দৃশ্যমান হয়। অধ্যাপক রশীদ বিস্ময়ে বলেন, “এটাই সেই হারানো সোনার বাংলা, যা ইতিহাস মুছে ফেলেছিল!” কিন্তু সেই আলো স্থায়ী ছিল না। মানচিত্রটি ধীরে ধীরে ছাই হয়ে যায়, শুধু থেকে যায় ধর্মপালের মুদ্রা — যা আজও আশরাফুল নিজের কাছে রাখে, একটি বাক্যে খোদাই করা: “বাংলা একদিন আবার জেগে উঠবে — আলোয়।” আজও দুলালপুর গ্রামের মানুষ বলে — বৃষ্টির রাতে দূরে পদ্মার পাড়ে দেখা যায় সোনালী আলো, যেন কেউ সেই মানচিত্র আবার জোড়া লাগানোর চেষ্টা করছে। কেউ বলে এটা কেবল গল্প, কেউ বলে ইতিহাসের অমর প্রতিধ্বনি। কিন্তু যারা পাহাড়পুরের নিস্তব্ধ মাটিতে দাঁড়িয়ে প্রার্থনা করে, তারা অনুভব করে — বাংলা এখনো বেঁচে আছে, ইতিহাসের মাটির নিচে নয়, মানুষের হৃদয়ে।

No comments

Theme images by Deejpilot. Powered by Blogger.